প্রকাশিতঃ বুধবার, জানুয়ারী ১, ২০২০ পঠিতঃ 146286
:: তানজিনা ইয়াসমিন ::
পৃথিবীর অন্যতম প্রানী আশরাফুল মাখলুকাত হিসাবে স্বীকৃত মানুষের স্ত্রীবাচক রুপটি হলো নারী। সমযের পরিসীমায় সামাজিক অবকাটামোর অংশীদারিত্বে স্ত্রীজাতির নানা রুপ পরিলক্ষিত হয়,্ যেমন ঃ মেয়ে, বোন, মা, মাসী, পিসি, দাদী, নানী ও স্ত্রী ইত্যাদি। এ বিষয়ে আমরা সকলেই জানি কিš‘ মানতে পারি কিনা সেটা হলো আলো”্য বিষয়। আমাদের পারিবারিক গঠন ব্যাব¯’া অকল্পনীয় ও অসম্বব ছিল যদি পৃথিবীতে নারী জাতীর সৃষ্টি না হতো। সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নারীর অধিকার ও সম্মানের নিরিখে সুদৃঢ় ও উল্ল্যেখযোগ্য।
বর্তমান প্রেক্ষাপট শুধু নয় আদিকাল থেকেই ঘটে যাওয়া নারীর প্রতি অবিচার, অসম্মান, অবহেলা, লাঞ্চনা, নিপীড়ন, নির্যাতন ত্বারিত করে স্ত্রীজাতির বিবেককে । ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার হিসেবে সমাজের অনুশাসন ও রাষ্ট্রের কাছে প্রশ্ন বোধক বিবেকের আকুল আর্তি হয়ে রুপ নিয়েছে নারী নির্গহ। জাতি হিসেবে আমরা কতটা সভ্য নারী সমাজের কাছে তা প্রশ্নবিদ্ধ, কারন যে সমাজে ধর্ষনের মতো ঘটনা ঘটে, যেখানে দুই বছরের শিশুও রেহাই পায় না । পথে, ঘাটে, বাসে, ট্রেনে প্রতি নিয়ত যৌন হয়রানীর স্বীকার হয় শত শত নারী। এমন কি পরিবারে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়।ে
চাকুরী ক্ষেত্রে কাজ ও বেতন বৈসম্যেও স্বীকারও হতে হয়। এ সমাজকে আর যাই হোক সভ্য সমাজ বলা যায় না। নারীর প্রতি অসামানজ্ঞস্ব্যতা অবিচার ও অবহেলা নিরসন না ঘটলে নারী জনগোষ্ঠি সর্বদা কোন ঠাসা হয়ে থাকবে। আর তখন জনশক্তিতে পরিনত হওয়া কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
আমাদের জনগোষ্ঠির প্রায় অর্ধেক নারী হওয়া শর্তেও নারী সমাজের কাছে স্বপ্ন পিয়াস হলো তাদের অধিকার অর্জন। এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন কখনো সম্বপর নয় যদি না বিকৃত মানসিকতার পরিবর্তন না ঘটিয়ে সু¯’ মানসিকতা তৈরী না হয়।
নারী নির্গহের অন্ধকার প্রকোষ্ঠ চিরতরে সমাজ থেকে দুরীভুত হবে কিনা নারী হিসেবে জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন রইল ।
লেখকঃতানজিনা ইয়াসমিন, টেকনিকাল অফিসার, ডিপার্টমেন্ট অব মিডওয়াইফারী, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়
সিডরো মিডিয়া গ্রুপ অব পাবলিকেশন্স লিঃ-এর পক্ষে রিনা দাশ কর্তৃক উত্তরা রেসিডেন্সিয়াল এলাকা ঢাকা থেকে প্রকাশিত
 01701703442   ||   info@dailykalerkotha.com